কয়েকটা পার্টে আমি এই লেখাগুলো লিখতে চাচ্ছি যাতে কোনো লেখা বেশি বড় হয়ে ধ্যের্যচ্যুতি না ঘটে। আজকে প্রথম পর্বে শুধু স্কলারশিপ নিয়ে নর...

Scholarship নিয়ে পড়তে চাইলে - ২

কয়েকটা পার্টে আমি এই
লেখাগুলো লিখতে চাচ্ছি যাতে কোনো লেখা বেশি বড়
হয়ে ধ্যের্যচ্যুতি না ঘটে।
আজকে প্রথম পর্বে শুধু স্কলারশিপ
নিয়ে নর্থ আমেরিকায় আসার
পথে কি কি স্টেপ পার করতে হয়
সেগুলো নিয়ে কথা বলব। পরের
পর্বগুলাতে একে একে GRE, TOEFL, SOP,
Recommendation Letter, University
Selection, Communication with Professors
এগুলা নিয়ে কথা বলা যাবে।
আমি মেইনলি ইন্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের
স্টুডেন্টদের জন্য
লেখাটি লিখছি যদিও সব
ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রেই অনেক
ব্যাপারস্যাপার কমবেশি সেইম।
সাধারণভাবে একজন ছাত্রের
আমেরিকায় গ্রাজুয়েট স্কুলের
অ্যাডমিশন
পেতে হলে মোটামুটিভাবে নিচের
টাইমলাইন ফলো করতে হয় :
১. জিআরই প্রিপারেশন নেয়া (মে/
জুনের মধ্যে শুরু করা উচিত ফল
অ্যাডমিশন পেতে হলে। ৪-৬ মাস
টাইম দেয়া উচিত ভালো স্কোরের
জন্য)
২. টোফেল প্রিপারেশন নেয়া
(জিআরই-র মত কঠিন না, এক মাসের
প্রিপারেশন এনাফ।
সবচেয়ে ভালো হয় জিআরই-র
সাথে একসাথে স্টাডি করলে।
এতে টোফেলের সাথে জিআরই
ভার্বাল এর প্র্যাকটিস হয়ে যায়)
৩. জিআরই এবং টোফেল দেয়া
(নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা উচিত)
৪. অত্যন্ত সতর্কভাবে ৬-৮
টা ইউনি সিলেক্ট করা (খুব ক্রুশিয়াল
পার্ট কারণ সঠিক স্কুল সিলেক্ট
করতে না পারলে স্কলারশিপের
আশা মরিচীকা থেকে যায়। জিআরই
দেওয়ার এক মাস
আগে থেকে ইউনিভার্সিটিগুলার
সাইট ব্রাউজ এবং পরিচিত
যারা বিভিন্ন স্কুলে আছে তাদের
সাথে কন্টাক্ট করা উচিত)
৫. স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP)
রেডি করা (খুব খুব
জরুরি একটা জিনিস। এটলিস্ট এক মাস
সময় নিয়ে একটা ২ পৃষ্ঠা SOP
বানানো উচিত।
এবং নভেম্বরে মাঝে SOP কমপ্লিট
করে ফেলতে হবে)
৬. রিকমেন্ডেশন লেটার কালেক্ট
করা (কালেক্ট
করা না বলে প্রিপেয়ার
করা বলা ভালো কারণ
বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই
নিজে নিজে রিকমেন্ডেশন লেটার
লিখে প্রফেসরদের কাছ থেকে শুধু
সাইন নিয়ে আসে। যাইহোক এটাও
একটা গুরুত্বপুর্ন পার্ট আ্যাপ্লিকেশন
প্যাকেজের এবং দুই সপ্তাহ সময়
রাখা উচিত সব কমপ্লিট করতে)
৭. অনলাইনে অ্যাডমিশনের জন্য
অ্যাপ্লাই করা এবং অ্যাপ্লিকেশন
ফি পে করা (মোস্ট স্কুলের ফল
অ্যাপ্লিকেশন ডেডলাইন
থাকে ডিসেম্বর-জানুয়ারি)
৮. অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজের
হার্ডকপি DHL/FEDEX এর
মাধ্যমে পাঠানো (এটাও
ডেডলাইনের আগে পাঠাতে হবে)
৯. স্কলারশিপ লেটার এবং I-20
রিসিভ করা (ফেব্রুয়ারি-মার্চ
থেকে স্কুলগুলো ডিসিশন
জানানো শুরু করে)
১০. ভিসা ডকুমেন্টস
রেডি করা এবং ভিসা ইন্টারভিউ
ডেট ফিক্স করা (ক্লাশ শুরুর ডেট
থেকে ৩ মাস
আগে করা ভালো কারন অনেক সময়
ভিসা দিতে অকারনেই অনেক
দেরি করে)
১১. ভিসা পাওয়া এবং প্লেনের
টিকেট করা :) (স্কলারশিপ
থাকলে ভিসা পাওয়া পিস অফ কেক)
উপরে বর্নিত প্রত্যেকটা জিনিস
গুরুত্বপুর্ন এবং প্রত্যেকটা জিনিস
আলাদা মনোযোগের দাবি রাখে।
কারণ কোনো একটা সিংগেল
থিং কখনো স্কলারশিপের
নিশ্চয়তা দিতে পারেনা।
স্কুলগুলা অ্যাডমিশন দেবার জন্য
পুরো অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজটাই
কনসিডার করে। যেকারণে অনেক কম
সিজিপিএ (এমনকি <৩) নিয়েও
এক্সেলেন্ট জিআরই স্কোর
থাকলে চমৎকার স্কলারশিপ ম্যানেজ
করা যায়, একইভাবে কম জিআরই স্কোর
নিয়েও অনেকে স্ট্রং অ্যাপ্লিকেশন
প্যাকেজ এবং ভালো সিজিপিএ
থাকলেও স্কলারশিপ পসিবল।
তবে যারা এখনো ব্যাচেলর কমপ্লিট
করেনি এবং উচ্চশিক্ষার আগ্রহ
আছে তাদের আমি সাজেস্ট
করবো এট লিস্ট একটা ডিসেন্ট
স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে।
এখানে ডিসেন্ট স্ট্যাটাস
বলতে আমি বুঝিয়েছি:
* সিজিপিএ > ৩.২৫
* জিআরই > ১২০০
* টোফেল > ৯০
* ফাইনাল
ইয়ারে একটা ভালো প্রজেক্ট/
থিসিস করা এবং যথাসম্ভব
চেস্টা করা পেপার পাবলিশ করতে।
যদিও পাবলিকেশন
থাকা জরুরি না কিন্তু
এটা একটা ডেফিনিট প্লাস(especially
for PhD applicant)
* কিছু এক্সট্রা কারিকুলাম
এক্টিভিটিস করা যেমন
প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নেয়া,
সেমিনার, ডিবেট, কালচারাল
এক্টিভিটিস ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমেরিকার ইউনি গুলা এইসব
সার্টিফিকেটকে অনেক মুল্য দেয়
এবং যখন একই যোগ্যতাসম্পন্ন একাধিক
ক্যান্ডিডেট পাওয়া যায় তখন এসব
ফ্যাক্টর হিউজ রোল
প্লে করে স্কলারশিপের জন্য।
কারো যদি উপরের
কোয়ালিফিকেশনগুলা থাকে(এট
লিস্ট প্রথম তিনটা)
তাহলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়
যে সে নর্থ আমেরিকায় স্কলারশিপ
পাবে। এখন যেটা দরকার
সেটা হলো সঠিক সময়ে সঠিক
জায়গায় সঠিক মালমশলা নিয়ে হিট
করা। পরের
পর্বগুলাতে আরো আলোচনা করবো এসব
বিষয়ে। ততক্ষন পর্যন্ত আলবিদা।

0 মন্তব্য(গুলি):

Featured Posts

Featured Posts

Featured Posts

Popular Posts

Socialize Us